Admission Test বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তুতি || ICT লেকচার ১

University Admission Test Lecture One

Admission Test পরীক্ষার জন্য পরিপূর্ণ লেকচার শিট এবং বিগত সালের Admission ICT এর প্রশ্ন নিচে দেয়া হয়েছে। ইনশাল্লাহ ICT তে আপনার আর কোন সমস্যা থাকবে না। 

university admission hsc job ict


গুরুত্বপূর্ণ টপিক 

কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এবং যােগাযােগ তত্ত্ববিদ মার্শাল ম্যাকলুহান (Marshall McLuhan) ১৯৬২ এবং ১৯৬৪ সালে তাঁর প্রকাশিত দুটি গ্রন্থ “The Gutenberg Galaxy : The Making of Typographic Man” এবং “Understanding Media” তে “The global village” এবং “The medium is the message” শব্দ দুটোর প্রবর্তক ছিলেন এবং তিনিই প্রথম বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজের ধারণা দেন।

গুরুত্বপূর্ণ টপিক 

ম্যাকলুহান ১৯১১ সালের ২১শে জুলাই জন্মগ্রহণ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৯৮০ সালের ৩ শে ডিসেম্বর।

গুরুত্বপূর্ণ টপিক 

“বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ এমন একটি পরিবেশ বা ধারণাকে বুঝায় যেখানে পৃথিবীর সকল প্রান্তের লােক একে অপরের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য ও যােগাযােগ করতে পারে।”

গুরুত্বপূর্ণ টপিক 

বিশ্বগ্রাম তৈরির জন্য যেসব উপাদান প্রয়ােজন তা নিম্নরূপ :

১. হার্ডওয়্যার; ২. সফটওয়্যার; ৩. ডেটা; ৪. ইন্টারনেট সংযােগ; ও ৫. মানুষের সক্ষমতা।

গুরুত্বপূর্ণ টপিক 

বিশ্বগ্রাম ধারণা সংশ্লিষ্ট উপামানসমূহ : বিশ্বগ্রাম ধারণা সাথে অনেক উপাদান ওতপ্রােতভাবে জড়িত। এর প্রধান উপাদানগুলাে হলাে নিম্নরূপ :

১. যােগাযােগ (Communication);

২. কর্মসংস্থান (Employment);

৩. শিক্ষা(Education);

৪. চিকিৎসা (Treatment);

৫. গবেষণা (Research);

৬. অফিস (Office);

৭. বাসস্থান (Residence);

৮, ব্যবসা-বাণিজ্য (Business);

৯. সংবাদ (News);

১০, বিনােদন ও সামাজিক যােগাযােগ (Entertainment and Social Communication);

১১. সাংস্কৃতিক বিনিময় (Cultural Exchange)।

ইলেকট্রনিক মেইল : দ্রুত যােগাযােগের অন্যতম মাধ্যম হলাে ই-মেইল বা ইলেকট্রসিক মেইল । ই-মেইল হলাে আধুনিক ডাক ব্যবস্থা যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি যার সাহায্যে খুব দ্রুত এবং অল্প সময়ে চিঠিপত্র, অন্যান্য ডকুমেন্ট নির্ভুলভাবে গন্তব্যস্থানে পৌছানাে যায়।

টেলিকনফারেন্সিং : টেলিযােগাযােগের মাধ্যমে সভা অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে টেলিকনফারেন্সিং বলা হয় এবং এই সভাকে টেলিকনফারেন্স বলে। ১৯৭৫ সালে মরি টারফ এ পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন ।

ভিডিও কনফারেন্সিং : যে ব্যবস্থা বা পদ্ধতির সাহায্যে আমরা দূরবর্তী স্থানের লােকের সাথে কথা বলতে পারব এবং যােগাযােগ প্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে দেখতেও পারব তাকে ভিডিও কনফারেন্সিং বলা হয় । 

গুরুত্বপূর্ণ টপিক 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের তাদের অন-লইনভিত্তিক কাজগুলাে অন্যান্য দেশের লােকজনকে দিয়ে কম খরচে করিয়ে নিচ্ছে। এই ধরনের কাজকে বলা হয় আউটসাের্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং। যে ব্যক্তি আউটসাের্সিং এর কাজ করে তাকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ টপিক 

গ্লোবাল আউটসাের্সিং মার্কেট প্লেসগুলাের মধ্যে রয়েছে ODesk, Elance, Freelancer.com, Guru, Scriptlance ও Vworker ইত্যাদি।

শিক্ষা :  বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা বিশ্বের যেকোনাে প্রান্ত থেকে ক্লাসে উপস্থিত না হয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে। অনলাইনের মাধ্যমে এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ই-ইডুকেশন বা ই-লার্নিং বা ডিসটেন্স লার্নিং বলা হয়।

চিকিৎসা : টেলিফোন তথা তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাক্তার ও রােগী দূরবর্তী স্থানে থেকেও যে চিকিৎসা সেবা তাই টেলিমেডিসিন সার্ভিস। টেলিমেডিসিন সার্ভিসের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা যায়। টেলিকমিউনিকেশন ও তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির সাহায্যে দূরবর্তী স্থানে অবস্থানরত কোনাে রােগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বাস্থ্যসেবা দেয়াকে টেলিমেডিসিন বলা হয়।

অফিস : যে অফিসের সার্বিক কার্যক্রম যেমন: তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, বিতরণ, ডকুমেন্ট তৈরি, সংরক্ষণ, নথিভুক্তকরণ, চিঠিপত্র আদান-প্রদান, দৈনিক আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হয় তাকে ডিজিটাল অফিস বা পেপারবিহীন অফিস বলা হয় ।

বাসস্থান : যে প্রযুক্তি নির্ভর ঘর তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বগ্রামের বিভিন্ন সুবিধা যেমন: ভার্চুয়াল অফিস, ই-লার্নিং, টেলিমেডিসিন সার্ভিস, ভিডিও কনফারেন্সিং, উপাত্ত ব্যাবস্থাপনা, দেশ-বিদেশের খবর সংগ্রহ, বিনােদন, কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রােবটের সাহায্যে গৃহস্থালীর কাজ করা যায় তাকে স্মার্টহােম বলে ।

গুরুত্বপূর্ণ টপিক 

একটি বাড়ি স্মার্ট হােম তৈরি করতে হলে নিচের তিনটি জিনিসের প্রয়োজন ; যথা-

১. হােম নেটওয়ার্কিং ২. ইনটেলিজেন্ট কন্ট্রোল  ৩.হােম অটোমেশন

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি: ভার্চুয়াল অর্থ যা সত্যি নয় কিন্তু সত্যি বলে মনে হয়। অর্থাৎ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা VR হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী কাল্পনিক ও বাস্তব জগৎকে সিমুলেশনের মাধ্যমে ঐ পরিবেশে মগ্ন হয়ে বাস্তবের ন্যায় এবানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা, অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন ।

  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সৃষ্টির জন্য ব্যবহারকারীকে মাথায় হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে, হাতে ডেটা গ্লোভ, একটি পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুইট এবং প্রয়ােজনে VR weapon পরিধান করতে হয়।
  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তৈরির জন্য যে সমস্ত প্রােগ্রাম প্রয়ােজন তাহলাে C++, Perl, Java, Python, Opengl, Direct3D, Java3D, VRML ইত্যাদি।

আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে বুঝায় মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে কৃত্রিম উপায়ে কম্পিউটার বা যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে বা রূপ দেয়াকে। Artificial Intelligence মূলতঃ কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা Intelligent মেশিন এবং সফটওয়্যার নিয়ে পড়াশুনা করা হয় এবং তৈরি করা হয় ।

John McCarthy ১৯৫৫ সালে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) ধারণা দেন এবং একে সংজ্ঞায়িত করেন বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মেশিন তৈরির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল হিসেবে। AI এর প্রধান উদ্দেশ্য হলাে :

১. বিচারশক্তি (Reasoning);

২. জ্ঞানের উপস্থাপনা (Knowledge Representation);

৩. পরিকল্পনা(Planning);

৪. যন্ত্রের শিক্ষা (Machine Learning);

৫. যােগাযােগ (Communication);

৬. স্পিচ, অবজেক্ট, ব্যক্তির মুখ সনাক্তকরণ (Speech, Object & Facial Recognition);

৭. দক্ষতাসহকারে কোনাে অবজেক্ট নড়াচড়া করা ও ব্যবহার করা (Motion & Manipulation of Object);

৮. প্রাকৃতিক ভাষার প্রক্রিয়াকরণ (Natural Language Processing) ও

৯. সৃষ্টিশীলতা (Creativity)।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরির জন্য যে সমস্ত প্রােগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করা হয় তা হলাে LISP, CLISP, PROLOG, C++, C, Java ইত্যাদি।

রােবটিক্স:  প্রযুক্তির যে শাখায় রােবটের ডিজাইন, গঠন, কাজ ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করে তাকে রােবটিক্স বলা হয়।

Robotics শব্দটি এসেছে Robot (রােবট) শব্দ থেকে এবং রােবট শব্দটি এসেছে স্লাভিক শব্দ Robota (রােবটা) থেকে যার অর্থ শ্রমিক বা দাসত্ব।

রােবট হচ্ছে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র যা মানুষের মত কাজ করতে পারে । New Collegiate ডিকশনারির মতে, “রােবট হচেছ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা; যা মানুষ যেভাবে কাজ করে তা সেভাবে কাজ করতে পারে অথবা এর কাজের ধরণ দেখে মনে হয় এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রয়েছে।”

উদাহরণ :

১. ইউনিমেট (Unimate) :১ম ইন্ডাস্ট্রিয়াল রােবট যা ১৯৬১ সালে জর্জ ডেভেল (George Devol) তৈরি করেছেন।

২. তালােন (Talon) :এটি একটি মিলিটারি রােবট যা US আর্মি ব্যবহার করে যুদ্ধক্ষেত্রে।

৩. তােপিও (Topio) :এটি একটি মানবসদৃশ রােবট যা ২০০৯ সালে জাপানে তৈরি হয় এবং এটি পিংপং বল খেলতে পারে।

৪. জাপানের মুরাতা কোম্পানির “মুরাতা বয়" , সনি কর্পোরেশনের “আইবাে" ও হােন্ডা কোম্পানির “আসিমাে" ইত্যাদি রােবট প্রায়

মানুষের মতই বিশেষ কোনাে কাজ করতে পারে। একটি সাধারণ রােবটে প্রধান যে অংশগুলাে নিয়ে গঠিত তা নিম্নরূপ :

  • লােকোমােশন সিস্টেম
  • পাওয়ার সাপ্লাই সিস্টেম
  • অ্যাকচুয়েটর সিস্টেম
  • সেন্সর সেস্টেম
  • সিগন্যাল প্রসেসিং সিস্টেম
  • কন্ট্রোল সিস্টেম
  • ম্যানিপুলেশন বা পরিবর্তন করা 
ক্রায়ােসার্জারি বা ক্রায়ােথেরাপি : ক্রায়ােসার্জারি হলাে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি বা থিরাপি যেখানে অতিরিক্ত নিম্ন তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিকম, ক্ষতিকর এবং রােগাক্রান্ত কোষগুলােকে ধ্বংস করা হয়।

  • এটি ক্রায়োথেরাপি বা ক্রায়ােবােলেশন নামেও পরিচিত।
  • ক্রায়ােসার্জারির “ক্রায়াে” গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে যার অর্ধ “বরফের মত ঠান্ডা” এবং “সার্জারি" অর্থ “হাতের কাজ" ।
  • আধুনিক ক্রায়ােসার্জারির যাত্রা শুরু হয় আমেরিকান নিউরােসার্জন I. S. Cooper এবং A. S. Lee এর হাত ধরে ১৯৬০ সালে যখন তরল নাইট্রোজেন সহজলভ্য হয়।
  • ক্রায়ােসার্জারির ক্ষেত্রে সাধারণত পৃথক পৃথকভাবে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুষার, আর্গন এবং সমন্বিতভাবে ডাই -মিথাইল ইথার ও প্রোপেন এর মিশ্রণ ব্যবহার করা হয় । ক্রায়ােসার্জারির প্রথম দিকে তরল অক্সিজেন ব্যবহার করত।
  • ত্বকের ছােট টিউমার, তিল, আচিল, মেছতা, ত্বকের ক্যান্সার চিকিৎসায় ক্রায়ােসার্জারি ব্যবহার করা হয়।
  • ক্রায়ােসার্জারি করার জন্য তরল নাইট্রোজেন/ আর্গন গ্যাস স্প্রে করতে যে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয় তার নাম “ক্রায়ােগিন” এবং শরীরের অভ্যন্তরে সার্জারি করার যন্ত্রের নাম “ক্রায়ােপ্রােব"।
  • অল্প স্থানে আক্রান্ত বা নরম কোষ ধ্বংসের জন্য তাপমাত্রা লাগবে -২০০ সেঃ থেকে ৩০০ সেঃ পর্যন্ত।
  • বড় ও শক্ত কোষ কলা ধ্বংসের জন্য তাপমাত্রা লাগবে -১৪০০ সেঃ। সাধারণত ১২ সেকেন্ডের মধ্যে তাপমাত্রা -১২০০ সেঃ থেকে -১৬৫০ সেঃ পর্যন্ত নামিয়ে আনা হয়।
  • ক্রয়ােসার্জারিতে তাপমাত্রা হ্রাস বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি অন্ততঃ দুটি চক্রে সম্পন্ন হয়। শীতলীকরণ প্রক্রিয়াটি ততক্ষণ যাবৎ চলতে থাকে যতক্ষণ পুরাে টিউমারটি এবং আশেপাশের টিস্যু ৫-১০ মিঃমিঃ পুরু বরফ দ্বারা ভালভাবে আবৃত হয়।
মহাকাশ অভিযান : বিশ্বের প্রথম মানুষ বহনকারী নভােযান ভস্টক-১, ১২ই এপ্রিল ১৯৬১ সালে রাশিয়ান মহাকাশযাত্রী ইউরি গ্যাগরিন মহাশূন্যে ভ্রমণ করেন।
  • মহাকাশযাত্রায় প্রথম মহিলা ভ্যালেন্টিনা তেরেসকোভা ১৬ই জানুয়ারী ১৯৬৩ সালে ভস্টক ৬ করে আটচল্লিশবার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেন।
  • ১৯৬৯ সালের ২০ই জুলাই এ্যাপােলাে-১১ তে করে সর্বপ্রথম নীল আর্মস্ট্রং ও এডউইন অলড্রিন চাঁদে অবতরণ করেন।
  • সর্বপ্রথম পৃথিবীতে মঙ্গলগ্রহ থেকে যে তথ্য আসে সেই মিশনের নাম ছিল “১৯৭১" মার্স ৩" এবং তথ্য পাঠানাের সময়কাল ছিল মাত্র ২০ সেকেণ্ড |
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসার (NASA : National Aeronautics and Space Administration) জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কম্পিউটার ব্যবহারের মাধ্যমে মহাকাশযানের অবস্থান, গতি-প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন।
  • বিভিন্ন পণ্য ডিজাইনে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। Computer Aided Design (CAD) হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যার সাহায্যে ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন কাজ যেমন ড্রাফটিং, ডিজাইন, এডিটিং, সিমুলেশন ইত্যাদি করা হয়।
  • যন্ত্রপাতিগুলাে স্বয়ংক্রিয় করার জন্য Programmable Logic Controller (PLC) ব্যবহৃত হয় যা সফ্টওয়্যারের সাহায্যে নিয়ন্ত্র করা হয় এবং সেই মােতাবেক কাজ করে।
  • Manufacturing Requirements Planning (MRP) সফটওয়্যার ব্যবহার করে পণ্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
  • প্রথম ইন্টারনেটের কার্যক্রম শুরু হয় ARPANET(Advanced Research Projects Agency Network) দিয়ে ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগে ।
  • বায়ােমেটিক্স হলাে জীববিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির একটি শাখা যার সাহায্যে মানুষের বায়ােলজিক্যাল ডেটা বিশ্লেষণ করে মানবদেহের অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য সনাক্তকরণ করে এবং তাকে চিহ্নিত করে ।
  • গ্রীক শব্দ bio যার অর্থ life এবং metric যার অর্থ to measure থেকে উৎপত্তি হয়েছে বায়ােমেট্রিক্স (Biometrics)।
  • দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে বায়ােমেট্রিক্সকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়; যথা-
ক. দেহের গঠন ও শরীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যের বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতি (Physiological) :
১. ফিংগার প্রিন্ট (Finger print);
২. হ্যান্ড জিওমেট্রি (Hand Geometry);
৩. আইরিস এবং রেটিনা স্ক্যান (Iris & Retina Scan);
৪. ফেইস রিকগনিশন (Face Recognition); ও
৫. ডিএনএ (DNA)।
খ. আচরণগত বৈশিষ্ট্যের বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতি (Behavioural) :
১. সিগনেচার ভেরিফেকেশন (Signature Verification);
২. ভয়েস রিকগনিশন (Voice Recognition); ও 
৩. টাইপিং কীস্ট্রোক (Keystroke Verification);

ফিংগার প্রিন্ট বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতি: ফিংগার প্রিন্ট বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতি একটি নিখুঁত, যথােপযুক্ত এবং নির্ভুলভাবে কোনাে ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার উপযুক্ত ও স্বর্বস্বীকৃত কৌশল । ফিংগার প্রিন্ট রিডার হিসেবে অপটিক্যাল পদ্ধতি (FTIR), CMOS ক্যাপাসিটেন্স, থার্মাল সেন্সিং এবং আন্ট্রাসাউন্ড সেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।

ফেইস রিকগনিশন : এই পদ্ধতিতে কোনাে ব্যাক্তিকে চিহ্নিত করার জন্য মানুষের মুখের গঠন প্রকৃতি পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতিতে ক্যামেরার সাহায্যে কোনাে ব্যক্তির এক বা একাধিক ছবি নেয়া এবং মুখমন্ডলের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করা হয়।

ভয়েস রিকগনিশন :কণ্ঠস্বরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে কোনাে ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত করা যায়। প্রত্যেকের কণ্ঠের ধ্বনির বৈশিষ্ট্য, সুরের উচ্চতা, সুরের মূর্ধনা, স্পন্দনের দ্রুততা ইত্যাদি বিশ্লেষণ করা হয়।

হ্যান্ড জিওমেট্রি : মানুষের হাতের আকৃতি এবং হাতের ছাপ সবার ভিন্ন ভিন্ন হয়। কারাে হাতের রেখার সাথে কারাে হাতের রেখার মিল নেই। এক্ষেত্রে হাতের তালুর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, পুরুত্ব, রেখাসমূহ ইত্যাদি পরিমাপ করা হয় এবং ৩১০০০ এর বেশি পয়েন্ট চিহ্নিত করতে পারে।

আইরিস এবং রেটিনা স্ক্যান : আইরিস স্ক্যানের ক্ষেত্রে চোখের মনির চারপার্শ্বে বেষ্টিত রঙিন বলয় বিশ্লেষণ করা হয় এবং রেটিনা স্ক্যানের ক্ষেত্রে চোখের মনিতে রঙের লেয়ারের পরিমাণ পরিমাপ করে কোনাে ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়।

সিগনেচার ভেরিফিকেশন : অটোমেশন পদ্ধতিতে স্বাক্ষরের আকার, লেখার গতি, সময় এবং কলমের চাপ ইত্যাদি ডেটা বিশ্লেষণ করে কারাে সিগনেচার ভেরিফাই করা হয়। 

বায়ােইনফরমেট্রিক্স : বায়ােইনফরমেট্রিক্স বা জৈব তথ্যবিজ্ঞান একটি আন্তঃশাস্ত্রীয় ক্ষেত্র অর্থাৎ জীববিজ্ঞান, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত ডেটার সংরক্ষণ, আহরণ, সাজানাে, ব্যবস্থাপনা, সংগঠন এবং বিশ্লেষণ ইত্যাদি কাজের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতির আবিষ্কার এবং উন্নয়ন করে।

বায়ােইনফরমেট্রিক্সের ব্যবহার : প্যাটার্ন রিকগনিশন, ডেটা মাইনিং, মেশিন ল্যাংগুয়েজ অ্যালগরিদম, ভিজুয়ালাইজেশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বায়ােইনফরমেট্রিক্স ব্যবহৃত হচ্ছে।

বিভিন্ন গবেষণার ক্ষেত্রে বায়ােইনফরমেট্রিক্স ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে। উল্লেখযােগ্য গবেষণাগুলাের মধ্যে রয়েছে DNA সিকুয়েন্স এলাইনমেন্ট, DNA ম্যাপিং, DNA অ্যানালাইসিস, জিন ফাইন্ডিং, জিনােম সমাগম, ড্রাগ নকশা, ড্রাগ আবিষ্কার, প্রােটিনের গঠন,প্রােটিনের ভবিষ্যৎ গঠন, জিন সূত্রের ভবিষ্যৎ, প্রােটিন-প্রােটিনের মিথস্ক্রিয়া, জিনােম এর ব্যপ্তি এবং বিবর্তনের মডেলিং ইত্যাদি।

বায়ােইনফরমেট্রিক্স কম্পিউটার বিজ্ঞান, গণিত শাস্ত্র এবং প্রকৌশল বিদ্যায় বায়ােলজিক্যাল ডেটা বিশ্লেষণ করতে ব্যবহার করে।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং : জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মূলতঃ উন্নত বৈশিষ্ট্যধারী উদ্ভিদ ও প্রাণী সৃষ্টিতে কাজ করে। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে নতুন কোনাে প্রজাতি তৈরিকে বলা হয় Genetically Modified Organism (GMO)।

১৯৫১ সালে জ্যাক উইলিয়ামস প্রথম “Genetic Engineering” শব্দটি তার সাইন্স ফিকশন উপন্যাসে Dragon's Island এ ব্যবহার করেন।

১৯৭২ সালে Paul Berg প্রথম রিকম্বিনেন্ট ডিএন তৈরি করেন। ১৯৭৩ সালে Herbert Boyer এবং Stanley Cohen সর্বপ্রথম ট্রান্সজেনিক জীব তৈরি করেন ব্যাক্টেরিয়ার ক্ষেত্রে।

প্রাণী বা উদ্ভিদ জীবের ক্ষুদ্রতম একক হলাে কোষ। কোষের প্রাণকেন্দ্রকে নিউক্লিয়াস বলা হয় ।

এই নিউক্লিয়াসের ভিতরে বিশেষ কিছু পেঁচানাে বস্তু আছে যাকে বলে ক্রোমােজোম। ক্রোমােজোম জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বহন করে থাকে।

ক্রোমােজোমের মধ্যে আবার চেইনের মত পেঁচানাে কিছু বস্তু থাকে যাকে DNA (Deoxyribo Nucleic Acid) বলা হয়।

এই ডিএনএ অনেক অংশে ভাগ করা থাকে। এর একটি নির্দিষ্ট অংশকে বলে জীন। মূলতঃ ক্রোমােজোমের অভ্যন্তরে অবস্থিত জীনই জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বহণ করে থাকে।

এক সেট পূর্ণাঙ্গ জীনকে জিনােম বলা হয়। মানুষের শরীরে ২৫,০০০ এর অধিক জীন রয়েছে এবং ২৩ জোড়া ক্রোমােজোম রয়েছে। এর মধ্যে ২২ জোড়া ছেলেমেয়ে সবারই সমান এবং ১ জোড়া সেক্স ক্রোমােজোম।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিতে কখনও প্রাণীর বংশ পরম্পরায় প্রাপ্ত ডিএনএ সরিয়ে ফেলার মাধ্যমে অথবা প্রাণীদেহের বাইরে প্রস্তুতকৃত DNA প্রাণীদেহে প্রবেশ করানাের মাধ্যমে প্রাণীর জেনেটিক গঠনের পরিবর্তন ঘটানাে হয়। এভাবে নতুন যে DNA পাওয়া যায় তাকে বলে রিকম্বিনেন্ট DNA।

DNA কাটার জন্য রেস্ট্রিকশন এনজাইম ব্যবহার করা হয় ।

DNA এর মধ্যে সুগার, ফসফেট এবং চার প্রকার ক্ষারক (A,C,G,T) থাকে।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে ইনসুলিন, হিউম্যান গ্রোথ হরমােন, বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার ঔষধ (follistim), হিউম্যান অ্যালবুমিন, ভ্যাক্সিন এবং অন্যান্য ঔষধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে তৈরিকৃত “অ্যানিমেল মডেল” হলাে Genetically modified ইদুর যার সাহায্যে মানুষের ক্যান্সার, স্থলতা, ডায়াবেটিস, উদ্বিগ্নতা কীভাবে কমানাে যায় তাই নিয়ে গবেষণা চলছে।

জীন থেরাপী ব্যবহার করে লিউকিরিয়া এবং পারকিনসন রােগের চিকিৎসা করা হয়।

ঈস্ট তৈরিতে, এনজাইম তৈরিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করা হয়।

বায়ােআর্টে ব্যবহৃত হয়। যেমন : ব্যাক্টেরিয়ার সাহায্যে সাদা-কালাে ফটোগ্রাফ, নীল গােলাপ ও উজ্জ্বল মাছ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে জীবের পরিবর্তনের মূলনীতি হলাে নিম্নরূপ :
১. Isolation; ২.Cutting; ৩.Insertion; ৪.Transformation; ৫. Expression।

ন্যানােটেকনােলজি : উইকিপিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা যায়, “Nanotechnology is the manipulation of matter on an atomic and molecular scale.” অর্থাৎ পদার্থের পারমানবিক এবং আণবিক স্কেলে ম্যানিপুলেশনই হলাে ন্যানােটেকনােলজি।

ন্যানােটেকনােলজির ন্যানাে শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ন্যানােস থেকে যার অর্থ বামন।

ন্যানােটেকনােলজিতে দৈর্ঘ্য পরিমাপের একক হিসেবে ন্যানােমিটার ব্যবহার করা হয়। এক ন্যানােমিটার হচ্ছে এক মিটারের একশত কোটি ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ১ ন্যানােমিটার (1nm)= 10-9 মিটার।

যদি ইঞ্চির সাথে তুলনা করা হয় তাহলে ২,৫৪,০০,০০০ ন্যানােমিটারে এক ইঞ্চি। একটি চুলের সাথে তুলনা করা হলে একটি চুল হচ্ছে। এক লক্ষ ন্যানােমিটার প্রশস্ত এবং সবচেয়ে ছােট ব্যাক্টেরিয়ার আকার ২০০ ন্যানােমিটার।

ন্যানােপ্রযুক্তি প্রক্রিয়া : ন্যানােটেকনােলজিতে দুটি উপায়ে বস্তু তৈরি করা হয়; যথা-
ক. বটম-আপ পদ্ধতি : এই পদ্ধতিতে ন্যানােডিভাইস এবং উপকরণগুলাে তৈরি করা হয় আণবিক উপাদান থেকে যা সংযােজন করা হয়। রাসায়নিকভাবে আণবিক স্বীকৃতির নীতি অনুসারে। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে ছােট ছােট বস্তু থেকে বড় কোনাে বস্তু তৈরি করা হয়।

খ. টপ-ডাউন পদ্ধতি :এই পদ্ধতিতে ন্যানেবস্তু তৈরি করা হয় বড় কোনাে বস্তু থেকে যেখানে কোনাে পরমাণু স্তরের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। অর্থাৎ বড় বস্তুকে কেটে ছােট বস্তুতে রূপান্তর করা হয়। 

তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহারে আমরা অবশ্যই নিম্নের কাজসমূহ করবনা :
১. সফটওয়্যার পাইরেসি;
২. হ্যাকিং
৩. সাইবার আক্রমণ;
৪. সাইবার চুরি;
৫. সাইবার ক্রাইম;
৬. স্প্যামিং;
৭. প্লেজিয়ারিজম;
৮. টাইম এন্ড রিসাের্স থেপ্ট; ও
৯. ভাইরাস ছড়ানাে।

সফ্টওয়্যার পাইরেসি : সফ্টওয়্যার পাইরেসি বলতে প্রস্তুতকারীর বিনা অনুমতিতে সফ্টওয়্যার কপি করা, ব্যবহার করা, নিজের নাসে বিক্রি করা ইত্যাদি কার্যক্রমকে বুঝায়।

হ্যাকিং : ইন্টারনেট ব্যবহার করে অন্যের কম্পিউটার সিস্টেমে এবং ওয়েবসাইটে অবৈধভাবে প্রবেশ করে পুরাে নিয়ন্ত্রণ নেয়াকে বল হ্যাকিং এবং যে ব্যক্তি বা যারা এই কাজটি করে তাদেরকে বলা হয় হ্যাকার।

সাইবার আক্রমণ ; সাইবার আক্রমণ হলাে এক ধরনের ইলেকট্রিক আক্রমণ যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অন্যের সিস্টেমে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করে ফাইল, প্রােগ্রাম, ডেটা কিংবা হার্ডওয়্যার ধ্বংস করে বা ক্ষতি সাধন করে। সুতরাং আমরা সাইবার আক্রমণ থেকে বিরত থাকব।

সাইবার চুরি : সাইবার চুরি বলতে ডেটা চুরি এবং কোনাে ব্যক্তির ব্যক্তি পরিচয় চুরিকে বােঝায়। অন্যের কম্পিউটার থেকে বিনা অনুমতিতে ডেটা কপি বা আহরণ করাকে ডেটা চুরি বলা হয় যা গুরুতর অপরাধ ।

সাইবার ক্রাইম : সাইবার ক্রাইম বলতে ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে যে সকল ক্রাইম সংঘটিত হয় তাকে সাইবার ক্রাইম বলা হয়। যা থেকে সকলের বিরত থাকা উচিত।

স্প্যামিং : অনেক সময় ই-মেইল অ্যাকাউন্টে অপ্রয়ােজনীয় মেইল আসে যা খুবই বিরক্তিকর উদ্রেক ঘটায়। অপ্রয়ােজনীয় এই মেইলসমূহকে বলা হয় স্প্যামিং মেইল।

প্লেজিয়ারিজম : যেকোনাে তথ্য আমরা সহজেই ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করতে পারি। থিসিসের ছাত্রছাত্রীরা তাদের থিসিসের বিষয়বস্তু। ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করতে পারে। অন্যের লেখা যখন নিজের নামে প্রকাশ করে তখন তাকে প্লেজিয়ারিজম বলা হয়।

ভাইরাস : ভাইরাস হলাে এক ধরনের ক্ষতিকারক, স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাহ এবং নিজস্ব সংখ্যা বৃদ্ধি করার প্রােগ্রাম। এই প্রােগ্রাম কম্পিউটারে প্রবেশ করে কম্পিউটারের রিসাের্সসমূহ নষ্ট করে দেয়।

VIRUS এর পূর্ণ নাম হলাে Vital Information Resources Under Seize অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ সম্পদসমূহ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

প্রােগ্রামের উদ্দেশ্য হলাে কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে অস্বস্তিতে ফেলা। ভাইরাস কম্পিউটারের ফাইলসমূহ মুছে ফেলে, exe ফাইলে রূপান্তর করে, ডিস্ককে নষ্ট করে ফেলে।

ভাইরাসের নামকরণ করেছেন “ফ্রেড কোহেন"।

ডিজিটাল ডিভাইড : ডিজিটাল ডিভাইড বলতে বুঝায় প্রযুক্তি নির্ভর জনগােষ্ঠী যারা প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নাতির শিকরে পৌছেছে এবং আর এক শ্রেণির জনগােষ্ঠী যারা প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে বঞ্চিত। প্রযুক্তির সাহায্যে জনগােষ্ঠী দুই শ্রেণিতে ভাগ হয়েছে।

সফ্টওয়্যার পাইরেসি : কোনাে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত সফটওয়্যার বিনা অনুমতিতে কপি করা এবং নিজ নামে বিক্রি করা ইত্যাদি কার্যক্রমকে সফটওয়্যার পাইরেসি বলে। যা তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির একটি গুরুতর অপরাধ ।

E-Commerce : E-Commerce বা Electronic Commerce হচ্ছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে ব্যবসা বাণিজ্য সংঘটিত হয়। ই-কমার্স একটি আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি। অনলাইনের সাহায্যে ব্যবসায়িক সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

ই-কমার্সকে চার ভাগে ভাগ করা যায়; যথা-
১. ব্যবসা থেকে ভােক্তা (Business to Consumer : B2C);
২. ব্যবসা থেকে ব্যবসা (Business to Business : B2B);
৩. ভােক্তা থেকে ব্যবসা (Consumer to Business : C2B); ও
৪. ভােক্তা থেকে ভােক্তা (Consumer to Consumer : C2C); ।

ই-কমার্সের বৈশিষ্ট্য :
ই-কমার্স টেকনােলজি সাতটি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত, বৈশিষ্ট্যগুলাে হলাে-
১. সর্বব্যাপিতা (Ubiquity);
২. সব জায়গায় প্রবেশযােগ্য (Global Reach);
৩. আন্তর্জাতিক মান (Universal Standards);
৪. প্রাচুর্যতা (Richness);
৫. মিথস্ক্রিয়া(Interaction);
৬. তথ্যের ঘনত্ব (Information Density);
৭. ব্যক্তিগতভাবে যত্নশীলতা (Personalization)

ই-গভর্নেন্স (E-Governance) :ই-গভর্নেন্স হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যক্রম ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথা তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পাদিত হয়। এক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিমাণ হ্রাস পাবে, দেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url