HSC ICT | অধ্যায় ১ | সিলেট বাের্ড-২০১৭
প্রশ্ন নং-১৭ সিলেট বাের্ড-২০১৭।
জয়িতা চৌধুরী পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রজেক্ট পেপার তৈরির ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সহায়তা নিয়ে থাকে। সে নিয়ম মেনে প্রতিটি তথ্যের উৎস উল্লেখ করে। ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য হতে সে এমন একটি প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনেছে যা দিয়ে অণুর গঠন দেখা সম্ভব । তবে জয়ন্ত ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ফাইলের সফটকপি সংগ্রহ করে কোনােরূপ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ছাড়াই নিজের নামে প্রকাশ করে।
(ক) বায়ােইনফরমেটিক্স কী?
(খ) বাবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব ব্যাখ্যা কর।
(গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রযুক্তিটির ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) তথ্য প্রযুক্তির নৈতিকতার বিচারে জয়িতা চৌধুরী ও জয়ন্তের আচরণ মূল্যায়ন কর।
(ক)-এর উত্তরঃ
“বায়ােইনফরমেটিক্স হলাে একম একটি আন্তঃশাস্ত্রীয় ক্ষেত্র যা জীব সংক্রান্ত ভেটা বিশ্লেষণ করে বুঝার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি এবং সফটওয়্যার টুলস উন্নয়ন করে।”
(খ)-এর উত্তরঃ
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাস্তবে অবস্থান করে কল্পনাকে ঘ্রায় দেখা সম্ভব। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরির মাধমে অতি অসম্ভব কাজও করা সম্ভবপর হয়। কল্পনার পাখায় ভর করে ইচ্ছে করলে চাঁদের মাঠিতে হেটে আসা, প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতম অঞ্চলে ঘুরে আসা, মানুষের মস্তিষ্কের নিউরাল সংযােগের উপর দিয়ে হাঁটা কিংবা জুরসিক পার্কের সেই অতিকায় ডায়নােসরের ছাড়াও খাওয়া যায়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পত্রিবেশ যেখানে ব্যবহারকারী ঐ পরিবেশে মগ্ন হতে, বাস্তবের অনুকরণে সৃষ্ট দৃশ্য উপভােগ করতে, সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণানুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাবাবেগ, উত্তেজনা অনুভূতি প্রভৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
(গ)-এর উত্তরঃ
উদ্দীপকে উল্লেখিত প্রযুক্তিটি হল ন্যানাে প্রযুক্তি। ন্যানােপ্রযুক্তি হচ্ছে। পারমাণবিক বা আণবিকমাত্রার কার্যক্রম প্রকৌশল শান্ত্র য্য কোন ডিভাইস বা সিস্টেমের কাজ এবং এর আরও অধিক উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত। ন্যানোপ্রযুক্তি হলাে পারমাণবিক বা আণবিক ফেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানাের বিজ্ঞান। একটি উপাদানের গােড়ার দিকের আবিষ্কার থেকে বর্তমানে উন্নয়নকৃত পদ্ধতি এবং সামগ্রী ব্যবহার করে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন পণ্য বা উপাদান। তৈরির জন্য ন্যানােপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানাে হয়। ন্যানাে প্রযুক্তির মাধ্যমে। অণুর গঠন দেখা সম্ভব । এর একটি উদাহরণ হল STM (Scanning Tunneling Microscope) ১৯৮০ সনে IBM –এর গবেষকরা প্রথম আবিষ্কার করনে STM এ যন্ত্রটি দিয়ে অণুর গঠন পর্যন্ত দেখা সম্ভব। এ যন্ত্রটির আঙ্কিারই ন্যানাে প্রযুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে সক্ষম হয়েছে। এতে ছােটোখাটো একটা পিপাড়াকে মনে হবে একটা ডাউনােসর।
(ঘ)-এর উত্তর:
তথ্য প্রযুক্তির নৈতিকতার বিচারে জয়িতা চৌধুরীর আচরণ বৈধ হলেও জন্থের আচরণ বৈধ নয়। জয়ন্তের আচরণ তথ্য প্রযুক্তির ভাষায় এক ধরনের প্রেক্রিয়ারিজম। অন্যের লেখা চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়া বা প্রকাশ করাকেই প্রেজিয়ারিজম বলে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন সাহিত্য, গবেষণা, বা সম্পাদনা কৰ্ম হুবহু নকল বা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে প্রকাশ করারই হল প্লেজিয়ারিজম। অনেক সময় কোন লেখার গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুচছও নকল করলে তা প্লেজিয়ারিজমের মধ্যে পড়ে। প্লেজিয়ারিজম একটি বেআইনী কাজ। কাজেই প্লেজিয়ারিজম প্রতিরােধ করা উচিৎ। ইদানিং শিক্ষা ক্ষেত্রে প্লেজিয়ারিজম অনেক বেশি দেখা যায়। শিক্ষার উদ্দেশ্য হল উচ্চতর চিন্তা করার দক্ষতা লাভ। অর্থাৎ কোন বিষয় তা যতই জটিল হােক না কেন তা বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন, সংক্ষেপন বা নতুন ধারণা প্রবর্তন করার দক্ষতা অর্জন। এই দক্ষতা অর্জন অসম্ভব হয়ে যায় অনুলিপি বা নকলের মাধ্যমে। লেখার ক্ষেত্রেও নকল বা অনুলিপি করাকে প্লেজিয়ারিজম বলা হয়। নীতিগত ভাবে যা এক জটিল সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। শিক্ষামূলক পরিবেশে প্লেজিয়ারিজম ঘটে তখনই যখন কোন লেখক উদ্দেশ্যমূলকভাবে অন্যের ভাষা, চিন্তা বা লেখকের কোন নিজস্ব ধারণা অথবা বিষয়বস্তু সূত্র উল্লেখ বা স্বীকার না করে ব্যবহার করে।