HSC ICT | অধ্যায় ১ | দিনাজপুর বাের্ড-২০১৭
প্রশ্ন নং-১৮: দিনাজপুর বাের্ড-২০১৭
আসিফ আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার সুযােগ পায় । কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে আমেরিকাতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অতঃপর বাংলাদেশে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জন করল । আসিফ পড়াশুনার ফাকে ফাকে অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করে। ফলে তার পারিবারিক অবস্থার উন্নতি হয়। তার বন্ধু মনির নতুন জাতের টমেটো চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়।
(ক) ন্যানাে টেকনােলজি কী?
(খ) নিম্ন তাপমাত্রার চিকিত্সা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
(গ) আসিফের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকের আলােকে আসিফ ও মনির এর আর্থিক স্বচ্ছলতার কারণ তুলনামূলক বিশ্লেষণপূর্বক তোমার মতামত দাও।
(ক)-এর উত্তর:
ন্যানাে টেকনােলজি: ন্যানােপ্রযুক্তি হলাে পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও কস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানাের বিজ্ঞান।
(খ)-এর উত্তর:
নিম্ন তাপমাত্রার চিকিৎসা পদ্ধতি হলাে ক্রায়ােসার্জারি। ক্রায়ােসার্জারি হলাে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় শরীরের অস্বাভাবিক বা রােগাক্রান্ত কোষগুলােকে ধ্বংস করা যায় । যে তাপমাত্রায় বরফ জমাট বাঁধে দেহকোষে তার চেয়েও নিম্ন তাপমাত্রার ধ্বংসাত্মক শক্তির সুবিধাকে গ্রহণ কর ক্রায়ােসার্জারি কাজ করে। এতে নিম্ন তাপমাত্রায় দেহকোষের অভ্যন্তরস্থ বরফ ক্রিস্টালগুলাের বিশেষ আকার বা বিন্যাসকে ছিন্ন করে দূরে সরিয়ে দেয়া যায়। ক্রায়ােসার্জারির ক্ষেত্রে সাধারণ পৃথক পৃথকভাবে তরল নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুষার, আর্গন এবং সমন্বিতভাবে ডাইমিথাইল ইথার ও প্রােপেন এর মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়। এদের কোনাে কোনােটি –41°C তাপমাত্রার উদ্ভব ঘটায়।
(গ)-এর উত্তর:
আসিফের ডিগ্রী অর্জন সম্ভব হয়েছে ডিসটেন্স লার্নিং এর মাধ্যমে। দূরশিক্ষণ বা ডিসটেন্স লার্নিং(Distance Learning) এর সাহায্যে বসে পড়াশুনা বা ডিগ্রী নেওয়া সম্ভবপর বিধায় শিক্ষার এ ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লব এনেছে। ইন্টারনেট সংযােগের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইভ ক্লাসেও অংশ নেওয়া যায়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। ভিডিও কনফারেন্সিং এর সাহায্যেও ক্লাস নিয়ে থাকে। তবে এসব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে প্রয়ােজনীয় ফি পরিশােধের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এই ধরনের অনলাইন এডুকেশনে বিশ্বের যে কোন স্থান ইন্টারনেট সংযােগের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশগ্রহণ করা বা সময়মত পরীক্ষাও দেওয়া যায়।
(ঘ)-এর উত্তর:
আসিফের অনলাইনে অর্থ উপার্জনের বিষয়টি হলাে আউটসোসিং । আউটসাের্সিং হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে সাহায্যে করিয়ে নেওয়া। আউটসাের্সিং এখন একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে। আউটসাের্সিং শিল্পকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের শিক্ষিত বিরাট জনগােষ্ঠী এখন অর্থ উপার্জন করতে পারছে। আউটসাের্সিং এখন অনেকেরই পেশা হিসাবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রতি বছর আউটসাের্সিং হতে কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করে। এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে যেরকম রয়েছে কাজের ধরণ নির্ধারনের স্বাধীনতা তেমন রয়েছে যখন ইচ্ছা তখন কাজ করার স্বাধীনতা। ওয়েবসাইট তৈরি, থ্রিডি এনিমেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ছবি সম্পাদনা, ডাটা এন্ট্রি, লেখালেখি করা, কোন পণ্যের বাজার খুজেঁ দেওয়া, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করা, ডেটা বিশ্লেষণ করা ইত্যাদিসহ আরাে অসংখ্যা কাজ এই পদ্ধতিতে করা সম্ভব। মনিরের আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে নতুন জাতের টমেটো চাষের মাধ্যমে যা সম্ভব হয়েছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে। কোনাে জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন (Gene) বহনকারী DNA (Deoxyribonucleic acid) পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে। ফসল উৎপাদনে ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন- সয়াবিন, ভুট্টা, তুলা, তৈল বীজ, টমেটো, পেঁপে ইত্যাদির জিন বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে এগুলাের উৎপাদন বৃদ্ধি, পােকা-মাকড় ও অন্যান্য উদ্ভিদনাশক ছত্রাক ও ভাইরাস প্রতিরােধ করা যাচ্ছে। জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত ফসল অধিক খরা ও ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে।
ভাই আসিফের কাজ টা ফ্রিল্যান্সিং না?