HSC ICT | অধ্যায় ১ | বরিশাল বাের্ড-২০১৭
প্রশ্ন নং-১৬ - বরিশাল বাের্ড-২০১৭
ড. জামিল একজন কৃষি গবেষক। তার আবিস্কৃত বীজ চাষ করে একজন কৃষক পূর্বের ফসলের চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলল। ড. জামিল একদিন তাঁর বন্ধু চিকিত্সকের নিকট গালের আঁচিল। অপারেশনের জন্য গেলেন। বন্ধু তাকে স্বল্প সময়ে -20°C তাপমাত্রায় রক্তপাতহীন অপারেশন করলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ বাড়ী ফিরে এলেন।
(ক) রােবটিক্স কী?
(খ) ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
(গ) ড. জামিলের গবেষণায় কোন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) ড. জামিলের বন্ধুর চিকিৎসা পদ্ধতির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণপূর্বক মতামত দাও।
(ক)-এর উত্তর:
টেকনােলজির যে শাখায় রােবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে রােবটিক্স' বলা হয়।
(খ)-এর উত্তর:
ব্যাক্তি শনাক্তকরনের প্রযুক্তিটি হল বায়ােমেট্রিক্স । বায়ােমেট্রিক হলাে এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোন ব্যক্তির দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা সনাক্ত করা হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞালে বায়ােমেট্রিক্সকে ব্যক্তি সনাক্তকরণ এবং কোন সিস্টেমে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
(গ)-এর উত্তর:
ড, জামিলের গবেষণায় যে প্রযুক্তিটি ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং । লাগোটেকনােলজির মাধ্যমে কোন জীবের জিনােমকে নিজের সুবিধানুযায়ী সাজিয়ে নেয়াকেই জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জেনেটিক মডিফিকেশন বলে। জিনােম হলাে কোন জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্যের তথ্য। ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন-সায়াবিন, ভুট্টা, তুলা, তৈল বীজ, টমেটো, পেঁপে ইত্যাদির জিন বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে এগুলাের উৎপাদন বৃদ্ধি, পােকা- মাকড় ও অন্যান্য উদ্ভিদনাশক ছত্রাক ও ভাইরাস প্রতিরােধ করা যাচ্ছে। জেনেটিক্যাল পরিবর্তিত ফসল অধিক খরা ও ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারে।
(ঘ)-এর উত্তর:
ড. জামিলের বন্ধুর চিকিৎসা পদ্ধতিটি হল ক্রায়ােসার্জারি। ক্রায়ােসার্জারি হচ্ছে এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা। প্রয়োগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক এবং রােগাক্রান্ত টিস্যু ধ্বংস করা হয়। ত্বকের ছােট টিউমার, তিল, আচিল, ত্বকের ছােট ছােট ক্যান্সার ইত্যাদি ক্রায়ােসার্জারির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। উ. জামিলের শালের আঁচিলের চিকিৎসায় ক্রায়ােসার্জারি চিকিৎসা পদ্ধতি বেশ যৌক্তিক ছিল। কেননা ক্রায়াের্জারিতে কোন প্রকারের অপারেশন বা কাটাছেড়ার প্রয়ােজন হয় না। তাছাড়া ক্রায়ােসার্জারির কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। বরফশীতল তাপমাত্রায় কোষকলাকে ধবংস করার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে অস্বাভাবিক বা রােগাক্রান্ত কোষকে ধংস করা হয়।