HSC ICT | অধ্যায় ১ | রাজশাহী বাের্ড-২০১৭
প্রশ্ন নং-১২: রাজশাহী বাের্ড-২০১৭
মি, “Y” তার বাবার ল্যাবরেটরিতে প্রবেশের সময় একটি বিশেষ সেন্সরের দিকে তাকানাের ফলে দরজা খুলে গেল। ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাে প্রথম ব জৈব তথ্যকে সাজিয়ে গুছিয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি সংক্রান্ত গবেষণা এবং দ্বিতীয় কক্ষে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ (DNA) তৈরি সংক্রান্ত গবেষণ্য করা হয়।
(ক) ন্যানােটেকনােলজি কী?
(খ) তথ্য প্রযুক্তি যােগাযােগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক --- বুঝিয়ে লেখ।
(গ) ল্যাবরেটরির দরজায় ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি বর্ণনা কর।
(ঘ) ল্যাবরেটরিতে যে প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা হয় তাদের তুলনামূলক পার্থক্য বিশ্লেষণ কর।
(ক)-এর উত্তর:
ন্যানােটেকনােলজি বা ন্যানােপ্রযুক্তি হলাে পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানাের বিজ্ঞান ।
(খ)-এর উত্তর:
তথ্য ও প্রযুক্তি ও যােগাযােগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক তথ্য প্রযুক্তির কাজ হচ্ছে ডেটাকে সংগ্রহ করে ইনফরমেশন তৈরি করা । আর যােগাযােগ প্রযুক্তির কাজ হচ্ছে ইনফরমেশন বা তথ্যকে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সঠিকভাবে সঠিক সময়ে স্থানান্তর করা। সুতরাং একটি ছাড়া অন্যটি 'অচল। এইজন্য তথ্য প্রযুক্তি ও যােগাযােগ প্রযুক্তি একে অপরের পরিপূরক।
(গ)-এর উত্তর:
ল্যাবরেটরির দরজায় ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হল আইরিস্ বা রেটিনা স্কেন। বায়ােমেট্রিক্স প্রযুক্তিতে সনাক্তকরণের জন্য মানুষের চোখের আইরিসকে (Iris) আদর্শ অঙ্গ হিসাবে গ্রহণ করা হয়। একজন মানুষের চোখের আইরিস বা চোখের তারার দৃশ্যমান রঙিন অংশ অপর কোন মানুষের চোখের আইরিসের প্যার্টানের সাথে মিলবে না। এটি অদ্বিতীয়, স্থায়ী এবং দৃশ্যমান। আইরিস বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতিতে কোন ব্যাক্তির এক বা উভয় চোখের আইরিস বা চোখের তারার দৃশ্যমান রঙিন অংশের ভিডিওকে পরীক্ষা করে গাণিতিক প্যার্টনি রিকগনিশন পদ্ধতির প্রয়ােগে সনাক্তকরণ করা হয়। এই পদ্ধতিতেই চোখ ও মাথাকে স্থির করে একটি ক্যামেরা সম্পন্ন। ডিভাইসের সামনে দাড়াতে হয়। এতে প্রায় ১ থেকে ১০ সেকেন্ড সময় লাগে। পরবর্তীতে পূর্ব থেকে ধারণ করা চোখের আইরিসের প্যার্টানের সাথে নতুন আইরিশ প্যার্টান মিলিয়ে সনাক্তকরণ করা হয়।
(ঘ)-এর উত্তর:
ল্যাবরেটারির প্রথম কক্ষে তথ্যকে সাজিয়ে গুছিয়ে সিস্টেম তৈরী সংক্রান্ত গবেষণা হয় তথা বায়ােইনফরমেটিক্স প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হয় । ল্যাবরেটারির দ্বিতীয় কক্ষে রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ তৈরী সংক্রান্ত কাজ করা হয়। তথ্য জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ করা হয় । “বায়ােইনফরমেটিক্স হলাে এমন একটি অন্তঃশাস্ত্রীয় ক্ষেত্র যা জীব সংক্রান্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে বুঝার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি এবং সফটওয়্যার টুলস উন্নয়ন করে। বায়ােনফরমেটিক্সের প্রধান কাজ হচ্ছে জীববিজ্ঞান সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত প্রয়ােজনীয় তথ্য ও জ্ঞানকে বিকশিত করার জন্য সফটওয়্যার সামগ্রী তৈরি করে। জীববিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রেই বায়ােফরমেটিক্স এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জৈব তথ্যকে সাজিয়ে গুছিয়ে সংরক্ষণ করার জন্য শক্তিশালী ডেটাবেজ এবং ইনফরমেশন সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। এই ধরনের ইনফরমেশন সিস্টেমে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (artificial intelligence), সফ্ট কম্পিউটিং, ডেটা মাইনিং, ইমেজ প্রসেসিং সিমুলেশন ইত্যাদি বিভিন্ন দক্ষ অ্যালগরিদম ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে বায়ােমেটিক্স হলাে এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোন ব্যক্তির দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে তাকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা সনাক্ত করা হয়। কম্পিউটার বিজ্ঞানে বায়ােমেটিক্সকে ব্যক্তি সনাক্তকরণ এবং কোন সিস্টেমে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে বায়ােমেটিক্স ডিভাইসগুলাে ব্যবহারকারীদের কোন প্রোগ্রাম, সিষ্টেম বা কক্ষ ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে থাকে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের একটি দল হতে কাউকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার কাজেও বায়ােমেটিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।