HSC ICT | অধ্যায় ১ | সম্মিলিত বাের্ড-২০১৮
প্রশ্ন নং-১০: সম্মিলিত বাের্ড-২০১৮
গবেষণা প্রতিষ্ঠান আলফা-এর বিজ্ঞানীগণ রেগাক্রান্ত কোষে সরাসরি ঔষধ প্রয়ােগ করার জন্য আণবিক মাত্রার একটি যন্ত্র তৈরির চেষ্টা করেছেন। ব্রেইনের অভ্যন্তরের গঠন ও কোষ পর্যবেক্ষণের জন্য তাঁরা একটি সিমুলেটেড পরিবেশ তৈরি করেন।
(ক) টেলিমেডিসিন কী?
(খ) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের এপার্ট সিস্টেম বুঝিয়ে লেখ।
(গ) বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
(ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত যন্ত্র তৈরির প্রযুক্তিটি খাদ্য শিল্পে কি ধরনের প্রভাব রাখে—বিশ্লেষণ কর।
(ক)-এর উত্তর:
টেলি মেডিসিন: টেলিমেডিসিন সেবা বলতে বােঝায় মােবাইল ফোন বা ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে চিকিত্সা সেবা প্রদান করা।
(খ)-এর উত্তর:
এক্সপার্ট সিস্টেম এমন একটি সিস্টেম যার সাহায্যে সফটওয়্যার এর মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে কোনাে জটিল সমস্যার সমাধান অথবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়। এক্সপার্ট সিস্টেম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিতে প্রতিষ্ঠিত। সুতরাং বলা যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক ধরনের এক্সপার্ট সিস্টেম।
(গ)-এর উত্তর:
বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত পদ্ধতিটি হলাে বায়ােইনফরম্যাটিক্স। কারণ ব্রেইনের অভ্যন্তরীণ গঠন ও কোষ পর্যবেক্ষণের জন্য বায়ােইনফরম্যাটিক্স পদ্ধতি ব্যবহার করে সিমুলেটেড পরিবেশ তৈরি করা হয়। বায়ােইনফরম্যাটিক্স এমন একটি কৌশল যেখানে ফলিত গণিত, তথ্যবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং জৈব রসায়ন ব্যবহার করে জীব বিজ্ঞানের সমস্যাসমূহ সমাধান রা যায়। বায়ােইনফরম্যাটিক্স এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জৈবিক পদ্ধতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করা। এই বিষয়ে মূলত হিসাব-নিকাশ করে ধারণা অর্জন করার চেষ্টা চালানাে হয়। যে সব পদ্ধতি প্রয়ােগ করে হিসাব-নিকাশ করা হয় তার মধ্যে রয়েছে প্যাটার্ন রিকোগনিশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যালগরিদম, ডেটা মাইনিং, ইমেজ প্রসেসিং, সিমুলেশন , ডিসক্রিট ম্যাথ, কন্ট্রোল থিওরি, সিস্টেম থিওরি, ভিজুয়ালাইজেশন ইত্যাদি। এই শাখার প্রধান কাজ জীববিজ্ঞান সম্বন্ধীয় জ্ঞান ব্যবহার অরে সফটওয়্যার টুলস তৈরি করা।
(ঘ)-এর উত্তর:
উদ্দীপকে উল্লেখিত যন্ত্র তৈরির প্রযুক্তিটি হলাে ন্যানােটেকনােলােজী। খাদ্য শিল্পে ন্যানােটেকনােলােজীর প্রভাব নিম্নরুপ: খাদ্য শিল্পে খাদ্য প্যাকেজিং এবং খাদ্যের গুণগত মান উন্নয়নে ন্যানােটেকনােলজী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
খাদ্য প্যাকেজিং:
ন্যানােটেকনােলজীর মাধ্যমে খাদ্য প্যাকেজিং-এর ক্ষেত্রে ন্যানাে কণা যেমন- সিলভার কণা ব্যবহার করা হয় যা খাদ্যবস্তুর মধ্যে ব্যাকটেরিয়াকে সনাক্ত করে ধ্বংস করে। ফলে খাদ্যবস্তু অনেক দিন সুরক্ষিত থাকে।
খাদ্যের গুণগত মান উন্নয়ন:
ন্যানােটেকনােলজী ন্যানাে পার্টিকেল এর মাধ্যমে বিভিন্ন খাদ্যবস্তুতে প্রয়ােজনীয় পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং পুষ্টি উপাদান প্রদান করে। ফলে খাদ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।