HSC ICT অধ্যায় ১ | সম্মিলিত বাের্ড-২০১৮

 

hsc job university admission ict

প্রশ্ন নং-৯:সম্মিলিত বাের্ড-২০১৮

“S” সাহেব একজন বড় ব্যবসায়ী। তার অফিসের কর্মচারীদেরকে একটি সুইচে হাতের ছাপ দিয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হয় এবং কারাখানায় প্রবেশ করার জন্য শ্রমিকরা মনিটরের দিকে তাকানাের পর দরজা খুলে যায় । “S” সাহেব এর কপালে টিউমার অপারেশন করতে গেলে ডা. সাহেব কোনাে রক্তপাত ছাড়াই একটি বিশেষ পদ্ধতিতে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় টিউমার অপারেশন করে দেন।

(ক) রােবটিক্স কী?

(খ) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যাখ্যা কর।

(গ) উদ্দীপকের আলােকে “S” সাহেবের টিউমার অপারেশনে কোন প্রযুক্ত ব্যবহার করা হয়েছে ব্যাখ্যা কর।

(ঘ) উদ্দীপকের “S” সাহেবের অফিসের উপস্থিতি নিশ্চিত ও কারখানায় প্রবেশের প্রক্রিয়াদ্বয়ের মধ্যে কোনটি বহুল ব্যবহৃত?

(ক)-এর উত্তর:

রােবটিক্স: টেকনােলজির যে শাখায় রােবটের নকশা, গঠন ও কাজ সম্পর্কে আলােচনা করা হয় সেই শাখাকে রােবটিক্স বলা হয়।

(খ)-এর উত্তর:

মানুষের চিন্তা ভাবনার অথবা বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতিটাকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্র বা কম্পিউটারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাটাই হলাে আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। বুদ্ধিমত্তা শব্দটি কোনাে নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ধারণা করতে পারা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা, অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া, যেকোনাে বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারা , অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারা, নতুন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত এবং সফলভাবে সাড়া দেওয়া প্রভৃতি বিশেষ গুণের সমষ্টিগত রূপ। যখনই এই গুণগুলােকে সিস্টেমের মাঝে সিমুলেট করা সম্ভব হয় তখন তাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে।

(গ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকের "S" সাহেবের টিউমার অপারেশনে ক্রায়ােসার্জারি বা ক্রায়ােথেরাপি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ক্রায়ােথেরাপি হচ্ছে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়ােগ করে ত্বকের অস্বাভাবিক ও রােগাক্রান্ত টিস্যুকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া। নিচে ক্রায়ােথেরাপির মাধ্যমে টিউমার টিস্যুকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলাে- ক্রয়ােথেরাপিতে টিউমার টিস্যুর তাপমাত্রা ১২ সেকেন্ডের ভিতরে কমিয়ে - ১২০°~- ১৬৫° সে. তাপমাত্রায় নিয়ে আসা হয়। এই সময় একটি সুচের প্রান্ত দ্বারা টিউমার টিস্যুর ভিতরে খুব দ্রুত আর্গন গ্যাসের নিঃসরণ করানাে হয়। তাপমাত্রার অত্যধিক হাসের ফলে কোষের পানিজমাটবদ্ধ হয়ে ঐ টিস্যুটি একটি বরফপিন্ডে পরিণত হয়। বরফপিন্ডের ভেতরে, টিউমার টিস্যুটি আটকা পড়ে গেলে এতে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ – ১৬৫° সে, তাপমাত্রায় রক্ত ও অক্সিজেন পরিবহন সম্ভব নয়। এর ফলে জমাটবদ্ধ অবস্থায় টিউমার টিস্যুটির ক্ষয় সাধিত হয়। আবার সূচের প্রান্ত দিয়ে টিউমার টিস্যুটির ভেতরে হিলিয়াম গ্যাস নিঃসরণের মাধ্যমে টিস্যুটির তাপমাত্রা ২০-৪০° সে. এ উঠানাে হয়। তখন জমাটবদ্ধ টিউমার টিস্যুটির বরফ গলে যায় এবং টিস্যুটি ধ্বংস হয়ে যায় ।

(ঘ)-এর উত্তর:

উদ্দীপকে "S" সাহেবের উপস্থিতি নিশ্চিত এবং কারখানা প্রবেশের প্রক্রিয়ায় হলাে বায়ােমেট্রিক্স ।প্রক্রিয়াদ্বয়ের মধ্যে একটিতে হাতের ছাপ এবং অন্যটিতে চোখের দৃষ্টি ব্যবহৃত হয়েছে। এ দুটি প্রযুক্তির মধ্যে আমাদের দেশে হাতের আঙ্গুলের ছাপ প্রযুক্তি বেশি ব্যবহৃত হয়। প্রত্যেক মানুষের ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পূর্ণ ইউনিক এবং সারাজীবন ধরে অপরিবর্তিত থাকে। প্রতিটি ব্যক্তির ফিঙ্গার প্রিন্ট এতােটাই স্বন্ত্র যে দুটি যমজ শিশু একই ডিএনএ প্রােফাইল নিয়ে জন্মগ্রহণ করলেও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে আলাদা করা যায়। এক্ষেত্রে আগে থেকেই মানুষের আঙ্গুলের ছাপ মেশিনে ধারন করে রাখা হয়। পরবর্তীতে এই রিডার আঙ্গুলের নিচের অংশে ত্বকে রীড করে সংরক্ষিত ছাপের সাথে তুলনা করে মিলে গেলে অ্যাকসেস প্রদান করে। এ পদ্ধতিতে সফলতার পরিমাণও বেশি। এ সব কারণে আমাদের দেশে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতিই বহুল ব্যবহৃত। চোখের রেটিনা পদ্ধতিতেও একইভাবে ব্যক্তি শনাক্ত করা গেলেও এর সফলতার হার তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় এর ব্যবহার ও কম।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url